শফিকুল ইসলাম সোহাগ’র গুচ্ছকবিতা ।। ঈদের বিশেষ আয়োজন ।। পেখম





শুভ্রতা ,গহীনের ভেতরে আলো সমুদ্র ফসল গোলায় তুলে স্বদিচ্ছারা শ্বাসত জিঞ্জাসা যাপিত জীবনে ফিরে উজ্জ্বল মৃত্তিকা ছুঁয়ে উঠে কালের লেখন ক্লান্ত নাবিক অন্ধকার ছিঁড়ে হাটে রোদ্দুরে সময়ের কিনারে নিয়ে আসে জীবিতের গান নক্ষত্র অনাদি জমিনে বিলায় আলো যেখানে বিশ্বাস অনির্বাণ ডানা মেলে নগ্নপদের মানসাংক শেষে দৃশ্যমান হই অন্ধকারের স্বার্থান্ধ তরঙ্গে সময় পোহাই জেগে উঠি শুভ্রতার মায়াবী ছায়ালোকে বিষাদিত নিঃস্ব নাগরিক দেয়াল উৎস খোঁজে , যেখানে নৈঃশব্দ্যের স্বাগতিক বিলাপ গড়ে বিশ্বাস শুভ্রতা, গহীনের ভেতরে আলোয় জাগে সুচিত্রমন
অবিনশ্বর ভাবনার স্মারক অবিশ্রান্ত লিখে যাও বিপন্ন মুক্তির এই করিডোরে প্রতিবাদী প্লাবনে উছলে উঠুক যৌবন । কবিতারা জাগুক অলিন্দে পরিশুদ্ধ চেতনার মিনার ছুঁইয়ে সমস্ত অবসাদ ছুঁড়ে দাও , চির অক্ষয়ের অস্তিত্ব নির্মাণে প্রতিশ্রুতির অনুভবের সূর্যদীপ্তে । চিত্তে আঁকো- সঞ্চারিত অবিনশ্বর ভাবনার স্মারক । তবু শৃংখলা ফিরে আসুক ফিরে আসুক আগমনীর গান জবান খুলে যাক- কামড় বসাক অত্যাচারী বিষ-পিপঁড়ে আবদ্ধ রাষ্টের মগজ ধোলায়ে নতুন মেরুতে দোকান সাজুক-ভাঙা দিনের রক্ত চোখে তবু হোক বোধের উৎসব ।
সভ্যতার আড়ালে পৈশাচিক চোখ তালি মারা ইতিহাস -কুটচালে জব্দ হিংসার আগুনে ত্রাস ছড়ায় হালের বলদ সোনালি কাবিনের দেশে হাসে উপোসীর ঘর নোংরা ইশারায় চলে নিরপরাধ পিঠে হাতুড়ি অপরাজনৈতিক সংস্কৃতির রোষানলে অস্পৃশ্য মেঘ পুঁজিপতি শক্তির বাহুবন্ধনে -- ভাটোয়ারা হয় মধ্যবিত্তের মুখের খোরাক অপযশের মুখচোরা প্রগতির মুমুর্ষু মগজে - তাচ্ছিল্য করে অলৌকিক আজান অস্তিত্বের স্বচ্ছ উঠোন যেথায় বিশ্বাসের নিশ্চিত পথ , নষ্ট ভাগ্যই বটে আমাদের আয়ুরেখা শেষ হবে জানি তবু কেন কানাকানি -মগজের প্যাঁচ কেন এত বিশ্বাসের ভাঙ্গন খেলা আতঁলামি মানুষের স্মর, ঘড়ির কাঁটা ঘুরছে- মানচিত্র সাজছে হলুদ আলোয় কাছাকাছি লাল সংকেত দিচ্ছে ,অপলাপের জর অতপর শিকারী পাখিরা এখনো প্রস্তুতি নিচ্ছে-- মমতার বাড়ী যেখানে শিমের মাচা আর লাউয়ের ঘুরি শালিকের দেশ যেন শ্যামলের বহুরুপী ঢেউ সৃষ্টির গহীন সমুদ্রে -বাতাসের আবেগী হানা কৃষকের মাঠে রাখালি সুর আর কাঠালের ঘ্রাণ সবুজ আঁচড়ের দাগ- অসীমের পরমতম সুখ মৃত্তিকার আকাশ মায়াবী অপেক্ষায় থাকে রোজ নক্ষত্রের সড়কে জানি নেমে আসে বোধের ঢল জীবন্ত নদীর শাখা-প্রশাখায় ফিরি মমতার বাড়ী ওখানে ইচ্ছেরা প্রতি প্রহরে নিভায় মননের আগুন জন্ম থেকেই পুড়ি বেদনাদগ্ধের ধূসরাভনীল মাঠ যন্ত্রণাহীন মন্ত্র পাঠে সোনালি বৃক্ষ শাখায় পাখিদের শীষ সবুজ পাতার জংশনে অনুবাদ হয় সৃষ্টিতত্বের বোধ নিরব কুয়াশা ভেজা চোখ মুছি শহোরের দেয়াল ঘেষে যাওয়া হয়নি আজও -উৎসবের বটবৃক্ষের কুটিরে যেখানে হেসে ওঠা সকাল ফুলে-ফলে ভরা রুপালিগ্রাম আশান্বিত ঢেকুর সর্বাত্মক একটা বিপ্লব আকুতি জানায় বেরসিক নগরের লোক যেখানে অবৈধতার আয়না ভেঙ্গে তৈরি হবে প্রসারিত নাগরিক দেয়াল ব্যবচ্ছেদের উল্টো পিঠে নিখুঁত একটি অভিযান জাপটে ধরবে গণতন্ত্রের বেওয়ারিশ প্রলাপ শোকাহত পাখিদল আবার ডানা ঝাপটাবে সৃষ্টি এবং কৃষ্টির বৃষ্টিতে । ছিঃ! মান শাসন নিশ্চিহ্নে অপেক্ষায় একটি সম্ভাব্য মানচিত্র রাষ্ট্র যেখানে মানুষ পাবে -স্বাচ্ছন্দ্য মেমোর পরিচ্ছন্ন খসড়া দুঃখ নেই যুবক অন্তরায় যদিও ডুবে আছে পরাভবের ঢেউ অন্তহীন ভাবনার -বিষাদের গল্পটা মুছে যাবে যাক ভরা পূর্ণকাল -আধাঁর পাল্টে দেবে জীবনের মোড় আসতে পাড়ে অকস্মাৎ শোকের ছায়া মুখ থুবড়ে পড়তে পারে কেরোসিন জীবন ভাঙ্গা সড়ক পর্দা টানবে তরতাজা প্রানের নির্দ্বিধায় বন্ধ হয়ে যাবে কলমের দাগ তবু অবিশ্বাস্য ধৈর্যের বাঁধ রাখো অটুট চলো একটা পদক্ষেপ নেই বেঁচে থাকার অবিজ্ঞ আলোকে- নতুন স্তবক লিখি মাটির আস্তরণ ভেদ করে আনি- সুখের সুনামী ।
 

2 تعليقات

  1. শুভেচ্ছা সতত প্রিয়জন
    সুন্দর ছুঁয়ে যাক দারুণ কথারা

    ردحذف

إرسال تعليق

أحدث أقدم