পেখম ।। অমিতাভ সরকার এর গুচ্ছ কবিতা








মন পাবনার দুখ পাথারে 

আমার মানুষ-সাপের মারাত্মক ভয়।
ইদানীং মনের ঘরে রোজ ইঁদুর ঢুকে দুঃখের খাবার খেয়ে যাচ্ছে।
আমি অসুখের ধান ভানছি।
শব্দের শব সঙ্গীতে সঙ্গীর টাকা খরচেও সেই একই হয়রানি। 
জব্দ হচ্ছে কুয়াশার আগুনচোখো দেশলাই। 
সিগারেটের কি ভাগ্য!

বেদনা সবুজ পাতা।
মাটির গজিয়ে ওঠা ঘাসে পর্ণমোচীর সান্ধ্যকালীন মেঠো প্রেমালাপ। 
সর্বস্ব দিয়ে চলে যাওয়ার পথেও আবার সেই একলা।
সমাবেশের ঝুম বৃষ্টিতে বুদ্ধির এখনও সঠিক বাড়বৃদ্ধি হয়নি। 
তবে কাজ চলছে,
অসময়ের বোমারু শীতে খুশির মেঘ ঠিকানা কোনোদিনই ঠিকঠাক ঘর খুঁজে পাবে না। 

জীবন ছবি আঁকার খাতা।
স্রষ্টা রং গুলছেন। 
হাতের লেখা এত জঘন্য যে পড়া যাচ্ছে না। 
জীবনের প্রশ্নগুলো ভুল হলেও নম্বরগুলো ঠিক করাই আছে।
কারণ জানতে চেয়ে উত্তর পেলামঃ
যার জন্য কবিতা লেখা সে বুঝতে পারলেই হল, 
সুন্দরীর রূপমহলে আমি-আপনি নিমিত্তমাত্র।

কবি ঘর ঝাঁট দিচ্ছেন।
ভালোবাসার কাজের লোক আজ আসেনি।
মাথায় ইচ্ছে পোকার মাড়। লোভ পাত পেড়ে চাউমিন খেতে বসেছে।
শরীরটা কিন্তু সারাদিন একটুও বসার সময় পায় না। 
ওষুধের জোরে যতদিন... 
ক্লান্ত বাতাস গায়ে এখন ঘুমোলেও চিন্তা হয়।
ধৈর্য্যের বিদেশ-বিঁভুইয়ে অপেক্ষার মা-বাবা কেউ আর এ দেশে আসবে না।

শব্দের উনুনে আঁচ দেওয়া হচ্ছে। স্তব্ধ ঘর, বন্ধ বাতাস, গায়ে জামাকাপড় নেই। 
বাইরের ভয়াল আওয়াজ...
সুবিধা হবে না তাই দেবতারাও অসুরদের দলেই... 
রম্ভা উর্বশীরা দুদিকে মুখ দেখালেও দেহটা কিন্তু ভুলের মরচে 
দেওয়ালেই, খাঁজের ভাঁজে ভাঁজেই সুখ, (যদিও সবটাই ক্ষণিকের)। 

কথাগুলো আজ সমুদ্র হয়ে যাচ্ছে
বিষে মিশে ক্ষীরসাগরেও নোনা বিস্বাদ,
সমুদ্র মন্থনে ওঠে কষ্টের ভোগ যন্ত্রণা, 
ভগবান বিষের বিষয়। 
নীলকন্ঠ যজ্ঞে বসেছেন।
আমি সুরাসুরের সুরসংগ্রামে দাঁড় টানছি।
অভিনয়ের কালবেলা ফুরিয়ে আসছে।
সব বুঝবার আগেই সব শেষ। 

দোষারোপের ফাইফরমাশ খাটতে খাটতেই জীবনের 
আসল সময়ে খুশির বাসর জাগার সুখ মধুচন্দ্রিমা পেরিয়ে গেল, 
মনটা মাজা ঘসা করেও আর ঠিক হল না।
শোধরানোর কোনো চেষ্টাই বাকি রাখিনি,
শুধু, 
সবাইকে জায়গা দিতে গিয়ে আমার আমিটাই বাদ দিয়ে ফেললাম। 

Post a Comment

أحدث أقدم