ঔজ্বল্য বন্দনা
ভিড় ঠেলে সংস্কৃতির মুখ চাওয়া চাই
আগুন দামের ফুটপাতে
স্ফুলিঙ্গ কিনে পকেট ফাঁকা।
চাকা গড়ায় গোড়ালির পিছনে,
পছন্দ আর সাধ্য মতো উপকরণ ।
এই মাথা থেকে সেই মাথা
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।
খই-দই-মিষ্টি
আমাদের কৃষ্টি।
ঔজ্বল্য বন্দনার বেলা পুকুর ঘাটে ছাপোষা জল ছাপ
এই মাথা থেকে সেই মাথা
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।
খই-দই-মিষ্টি
আমাদের কৃষ্টি।
ঔজ্বল্য বন্দনার বেলা পুকুর ঘাটে ছাপোষা জল ছাপ
এক গ্রীষ্মের স্তবগান
এই আগুন-দুপুর গায়ের উপর এসে পড়ে,
দাবদাহের পার্থনা ঘন্টা আগরবাতির মতো
হোগলা পাতার মাথায় তুলেছে এক চাঞ্চল্য,
ফেরিওয়ালা ছায়ার তলায় বসে জিরিয়ে নেয়
ফিরতে হবে তাকেও বিকেলের বনগাঁ লোকাল,
অর্ধেক ঝাপ নামানো মুদির দোকান
অর্ধেক চোখ নামানো ভাত ঘুমে,
চৈতি বিকেলে বন্ধুর বোনের সাথে নদীর পাড়ে
দেখা হবে সাইকেল থামিয়ে,মা মারা বাছুররে শান্ত
চুপচাপ কেটে যাবে বিকেল আসবে সন্ধ্যে,
তুমি হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে বলবে চলি পড়তে বসতে হবে,
এভাবে আর কতদিন তুমি চলে যাবে আমাকে ছেড়ে,প্রত্যেক
ভিক্ষার ঝুলি ফাকা থেকেছে বষ্টোমীর,
তোমাকে বাড়ির সামনে অব্দি পৌঁছে দিয়ে আমি চলে যাই
অবচেতনের জাল ছিঁড়তে ছিঁড়তে,পুকুর পাড়ে দেখি রায়'দের
আহা্! সেই ডুবে যাওয়া মুখ
চুম্বকের মতো আটকে আছে
গোধূলি বেলার আকাশের সাথে,
এই ডুবে যাওয়ার মধ্যে কোনো ছটফটানি নেই,এই ডুবে
বুড়ো আঙ্গুল দেখানো,এই ডুবে যাওয়ার মধ্যেই আছে ঈশ্বর বিরোধিতা,
তার ঠিক তিনদিন পরে ওই পুকুর থেকেই ওই দুজনের লাশ টেনে তোলা হবে,
পঁচা ঢোল হয়ে যাওয়া শরীর,শশুর বাড়ির মুখ চুন করা
আক্রোশ থমথমে পরিবেশ।
তারপর দুই'দিন তুমি নদীর পাড়ে আসনি দেখা করতে,যেদিন
তুমি হয়ে যাও রায়'দের বাড়ির ছোট বউ,আমি হয়ে যাই
অনন্তকাল ধরে আমরা ওই পুকুরের জলে ডুবে মরবো,
সারল্য থেকে দূরে আমরা বসবাস করি চুপটি করে,
জনমেই প্রতিদিন তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছো,
প্রতিবার আমার অব্যক্ত কথা,আমাদের মুখোমুখি করেছে,
আমাদের জন্ম দুখী করেছে।
শ্মশানের দিকে,গোলাম ফকিরের সাথে গঞ্জিকাটানি,তারপর
গোলাম চলে যায় দোতারায় সুর বাঁধতে,তারপর সাইকেল ঘুরিয়ে যখন চলেছি
ছোট বউ তার প্রাক্তন প্রেমিকের ঠোঁটে দিয়েছে ডুব,
যাওয়া যেন প্রশান্তির,এই ডুবে যাওয়া যেন নিয়তিকে
এলে সেদিন তোমাকে প্রথম বলেছিলাম
তোমার প্রাক্তন প্রেমিক,
আর বারবার রায়দের বাড়ির মুখ চুন হয়ে যাবে গ্রামের
লোকের সামনে,তুমি হয়ে যাও গ্রীষ্মকালের ফেরিওয়ালা,
তুমি হয়ে যাও বৃদ্ধ বটগাছের ছায়া,বটোমূলে আমরা আগের
বছরের রঙ উঠে যাওয়া জগন্নাথের মূর্তি।।
হোগলা পাতার মাথায় তুলেছে এক চাঞ্চল্য,
ফেরিওয়ালা ছায়ার তলায় বসে জিরিয়ে নেয়
ফিরতে হবে তাকেও বিকেলের বনগাঁ লোকাল,
অর্ধেক ঝাপ নামানো মুদির দোকান
অর্ধেক চোখ নামানো ভাত ঘুমে,
চৈতি বিকেলে বন্ধুর বোনের সাথে নদীর পাড়ে
দেখা হবে সাইকেল থামিয়ে,মা মারা বাছুররে শান্ত
চুপচাপ কেটে যাবে বিকেল আসবে সন্ধ্যে,
তুমি হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে বলবে চলি পড়তে বসতে হবে,
এভাবে আর কতদিন তুমি চলে যাবে আমাকে ছেড়ে,প্রত্যেক
ভিক্ষার ঝুলি ফাকা থেকেছে বষ্টোমীর,
তোমাকে বাড়ির সামনে অব্দি পৌঁছে দিয়ে আমি চলে যাই
অবচেতনের জাল ছিঁড়তে ছিঁড়তে,পুকুর পাড়ে দেখি রায়'দের
আহা্! সেই ডুবে যাওয়া মুখ
চুম্বকের মতো আটকে আছে
গোধূলি বেলার আকাশের সাথে,
এই ডুবে যাওয়ার মধ্যে কোনো ছটফটানি নেই,এই ডুবে
বুড়ো আঙ্গুল দেখানো,এই ডুবে যাওয়ার মধ্যেই আছে ঈশ্বর বিরোধিতা,
তার ঠিক তিনদিন পরে ওই পুকুর থেকেই ওই দুজনের লাশ টেনে তোলা হবে,
পঁচা ঢোল হয়ে যাওয়া শরীর,শশুর বাড়ির মুখ চুন করা
আক্রোশ থমথমে পরিবেশ।
তারপর দুই'দিন তুমি নদীর পাড়ে আসনি দেখা করতে,যেদিন
তুমি হয়ে যাও রায়'দের বাড়ির ছোট বউ,আমি হয়ে যাই
অনন্তকাল ধরে আমরা ওই পুকুরের জলে ডুবে মরবো,
সারল্য থেকে দূরে আমরা বসবাস করি চুপটি করে,
জনমেই প্রতিদিন তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছো,
প্রতিবার আমার অব্যক্ত কথা,আমাদের মুখোমুখি করেছে,
আমাদের জন্ম দুখী করেছে।
শ্মশানের দিকে,গোলাম ফকিরের সাথে গঞ্জিকাটানি,তারপর
গোলাম চলে যায় দোতারায় সুর বাঁধতে,তারপর সাইকেল ঘুরিয়ে যখন চলেছি
ছোট বউ তার প্রাক্তন প্রেমিকের ঠোঁটে দিয়েছে ডুব,
যাওয়া যেন প্রশান্তির,এই ডুবে যাওয়া যেন নিয়তিকে
এলে সেদিন তোমাকে প্রথম বলেছিলাম
তোমার প্রাক্তন প্রেমিক,
আর বারবার রায়দের বাড়ির মুখ চুন হয়ে যাবে গ্রামের
লোকের সামনে,তুমি হয়ে যাও গ্রীষ্মকালের ফেরিওয়ালা,
তুমি হয়ে যাও বৃদ্ধ বটগাছের ছায়া,বটোমূলে আমরা আগের
বছরের রঙ উঠে যাওয়া জগন্নাথের মূর্তি।।
দোষগুণ উড়ুক
লোপাট চোখ তবে কোথায় আছে?
ছাদটা খালি, ফুল আর গাছ নড়ে,
খুশির ঈদে তুমি দেশের বাড়ি,
নষ্ট সব রং আমার,ঝড়ের বেগে ভিড়তে
হবে,ঝড় বুনছে খরা,
মর্মে মর্মে সারমর্ম অশ্বার,তফাৎ
নিজের ও একার।
পুতুল বিয়ে দিয়ে সমাদ্রিতা কুটো খড়
নিয়ে যাবে আত্রাই।
সিঁদুরে লাল সদ্য ডুবে যাওয়া মুখ
ভাসিয়ে এসেছি চিরনির্ভরতা।
অবিরাম তুমি মরু যাহা জাহাজ হয়ে
আড়ষ্ট আমাকে নাবিক করলে ক্লান্তিহীন।
স্থবির তবুও স্মরণীয় অপমৃত্যু নির্জলা।
সন্নিবাধ্য প্রেম অতিকায় ধনী,গুড়ি গুড়ি
নক্ষত্র আঁধো ঘুমে নিগূঢ়।
জাগরুক পরগাছা পেট,স্পিনোজার
স্বর ডাকতে চায় মাতন বেদনার
প্রতিবিম্বকে।
ইশারার ওপারে জ্যোৎস্না জীবন।।
আমি ফিরলেই
এইসব উদযাপন-
যতসব বিজ্ঞাপন-
দাঁতে দাঁত চেপে ফিরে যাই,বাস রাস্তায়
তুমি দু'চোখ পেতে আছো
আমি শহর থেকে ফিরলে
তুমি ভাত বেড়ে দিও।
দেহ বেড়ে দিও,ধ্যাড়ানো প্রকৃতির নিয়মে।
আমি সংযম ছুড়ে ফেলি,তুমি বিছানায় পাশ ফেরো,
নিশুতি রাতের আলাপচারিতায়,ব্যাঘাত স্নায়ুর ওঠানামা।
পাড়াপড়শির সব কুলোর মতো কান,চ্যালা কাঠ ছুড়ে
মারে পাগল কুকুরটার দিকে।
তুমি ঘার গুজে মাছ কুঠছো,
সময় সাঁতরে পার হব,
সদ্য নিকনো উঠন সাবধানে রাখতে হবে পা,
আমি বুকে করে এনেছি বায়ু দূষণ,ঈদে তোমার জন্য নতুন শাড়ি।
কৈ মাছের কানকো খাবে কাক,বিলাই গুলি চেয়ে থাকে,
তুমি হাতের কাজ সে'রে এসো,আমি কাঁচা আম মেখেছি এক মুঠো।
তোমার নথে লেগে শরম,পরম যত্নে সাজানো আলনা,
এক বাচ্চা বিয়ানোর জন্য তোমায় ডেকে নিয়ে গেল সালমা,
আমি শীতল পাটিতে পড়ে থাকি,
আর থেকে থেকে পা দুলাই,
তুমি যখন ফিরলে তখন দুপুর গড়িয়ে গেছে,
সোনার ফসলে তখন চাটচ্যাটে পরন্ত রোদ্দুর।
তুমি গা ধুয়ে দাওয়ায় উঠলে,লাল শাকের বাটি ডাল
সব্জির কেন্দ্রে আমাদের চোখ চাওয়া চাই,তুমি জন্ম
থেকেই বোবা,আমি তোমার কণ্ঠস্বর হতে চাই।।
নগরবাসীর উল্লাস
বিমূর্ত নীল বন্দরে মৃত প্রেমিকার টুথপেস্ট,
এই স্নায়বিক শ্বাস-প্রশ্বাসের সংরক্ষণ,
আমরা মাতালের মতো সমুদ্রে ভেসে যাচ্ছি,
প্রবৃত্তির তাড়াহুড়োতে মধ্যবিত্ত জন্তু হতে ভুলে
গেছি এই কয়েকদিনে,স্পন্দিত রক্ত সাদা হয়ে উঠেছে,
দূরের দ্বীপসমূহের দিকে তাকিয়ে দেখি পাঠ্যপুস্তকের গায়ে
লাগা আগুন,উদ্দীপনা,অস্থিরতা নগরবাসীর উল্লাসের কারণ।
সময়-প্রতিস্থাপিত করতে যে মসীহকে সবাই স্মরণ করছে
তাকে শেষবার দেখেছিলাম আমার মৃত
প্রেমিকার কবর খনন করতে।।
আগের চেয়ে এই কবিতায় নতুন একটা ভাবনাকে তীক্ষ্মভাবে প্রকাশ পেতে দেখলাম। সবগুলো কবিতাই পড়ে ভাল লেগেছে। শব্দের এক্সপেরিমেন্ট দারুন।
ردحذفলেখাগুলো খুবই জীবন্ত। লেখক কে অভিবাদন জানাই🙏🖤
ردحذفإرسال تعليق