পেখম ।। রহিত ঘোষাল এর গুচ্ছ কবিতা


ঘুটঘুটে সব খবর



সুখ দিয়ে অতীতকে টান মারা যায়,
রাতে আসবো শুকিয়ে যাওয়া আর 
লুকিয়ে থাকা বুকের গভীরের খবর নিতে।
কাঁটাবন চরেরহাটে তীব্র নীরব পূর্ণতা,
ঘোষণা করেছিলাম নিথর প্রেমকুড়ালির 
মনোহর উত্থান-পতন হয়ে থাকবো।
পিরোজপুর আমায় ভাসমান করে চলে গেল,
উতলা উল্কা খারাপবাসে অজুহাতের আলেখ্য।
বিচ্ছরিত বৈরী বিজলী কপাল ছুঁয়ে
             গড়িয়ে বিকেল হয়েছিল।
অনুরক্ত সন্ধানী উজ্জ্বল পীড়াপীড়ি।
সখীদের অতুলনীয় নীল রাজপ্রাসাদের 
             মুগ্ধ সপ্তাহান্তিক অবসর।
ঘুটঘুটে অমাবস্যায়ও চাঁদ থাকে 
               দেখবার জন্য মনস্তত্ত্ব লাগে।।



সুবেদার


অনেক আগে আড়ুয়াপাড়াতে গোধূলি বা শেষ বেলাতে         
         দেখেও দেখেনি আমাকে কেউ সেদিন।
পটচিত্রের ভাবনায় পটুয়া,
জলের ভাবনায় নদী;-বহন করে রক্তধারা।
           সাদামাটা হাতে জিলাপির ঠোঙা,
              দুই চাকার মানুষ নিরন্তর পাহারা দেয় ভাসমান অঙ্গীকার,
লাগাতার রং মশালের আগুনে মুচির গল্প,ঢেউয়ের               
       নীরবতা বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহাদের জীবনে,
আমি ঘুম ও পেটের জ্বালার সুবেদার।।




ফুড়ুৎ


ভবিষ্যৎ তোমাকে স্মৃতিতে দেখছে,
       কোয়া-বীজ ফেলা যাচ্ছে 
                                    কিন্তু থেকে যাচ্ছে রস।
নভোচারীর স্বল্প মেয়াদী সহনশীলতা শূন্যে পরিণত হলো
ভাবনার ঝাঁপি গৃহবন্দিত্বে অস্থির,
এক পশলা অসহ্য মোহ পাপ,
মেঠো রোশনাই          চুল কেটেছ?
হৈ হল্লা ভেঙ্গে আড়মোরা কাটছো,
 কুমারীবেলার রহস্য-রোমাঞ্চ-ব্যতিব্যস্ততা।
মোদ্দা কথা ফুড়ুৎ করে হারিয়ে ফেলা,
সান্নিধ্য আসে ঝগড়া,প্রেম,বেতন ও নাস্তানাবুদ
ঘুটঘুটে দগ্ধে মরা শত জন্মে।
ফামিলা নাকি নেফারতিতি?
দৃষ্টিকটু ছায়াপথে নাফাখুম টোটকা সন্ধানে।
         যূথির রংচটা -হাফ ধরা নিরভিসন্ধি,
                  নিষ্ঠুরতার প্রাক্কালে -
                                             নরক ও নগ্নতা।।




 

5 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন