স্বীকারোক্তি
এলার্ম ভেঙ্গে এলার্ম বাজে
তবু ভাঙ্গে না মানুষের বিবেকের
ঘর ভাঙ্গে, চর ভাঙ্গে
ঢেউয়ের পর ঢেউ ডেকে আনে সর্বনাশ
মন ভাঙ্গে, মন্দির ভাঙ্গে
মজলিশে, মসজিদে ভাঙ্গে বিশ্বাস
সম্পর্ক ভাঙ্গে, সম্প্রীতি ভাঙ্
তবু ভাঙ্গে না মানুষের লালসার লা
শব্দহীন ভাঙ্গনে ধ্বসে পড়া মনে
তুমিই জীবন
টুংটাং চামচের আওয়াজ থেমে গেলে অবেলায়
এভাবেই মহুয়া মুদ্রিত রাত্রি ভেসে যায়।
চাঁদের আলোর চাদরে ঢেকে থাকে পর্ণমোচী বন
অনিচ্ছায় হৃদপিণ্ডে গেঁথে গেছে উপেক্ষিত ক্ষণ
ঋণাত্বক অবস্থানে বসিয়ে তোমার অস্তিত্ব
চিত্রায়ন করতে চেয়ে জীবন, বেঁচে থাকা থেকে
বিয়োগ হয়েছে সুখ-বাতায়ন; জানালার গ্রিলে
ঝুলে থাকে অন্ধকারের চাইম, জোছনায় ফোটে
নিগৃহীত প্রেম, ঝাপসা চোখে দেখি...সব তোমার
মুখের মতন; সুন্দর, সুরভিত, চন্দ্রাভ সে অবয়ব
নিঃশ্বাস নিতে নিতে বলি...তুমিই জীবন
তোমার বাইরে তো কিছুই শিখিনী তেমন।
হেমন্ত বিলাপ
হেমন্তের পথে পথে হেঁটে যাওয়া পথিক জানে ঝরার কী ব্যথা
তবু মুখরিত পাখি শাখে শাখে সাক্ষ্য রাখে উড়াল বেলার
প্রার্থনায় রত গাছেরা নত হয়ে মৌন সুরে পড়ে স্যুরা ফাতিহা
কেবল নির্জনতায়-ই অনুভব করা সম্ভব মনের ভেতরের হল্লা।
মাথার উপর ছাতার মতো ছেয়ে
—থাকা হেমন্তের বর্ণিল পাতারা মন কাড়ে কারণে অকারণে
বিদায় বেলা দুঃখ-শোক ভুলে
এমন সৌন্দর্য ছড়িয়ে চলে যাওয়া সময় রেখে যায়
একলা পথে ছড়ানো স্মৃতির পাতাঝরা আঁধার
অপার অমিয় ভাবনার বারিধারায় ভেজা বাহার।
পেলব আলোর আস্তরে জমানো অল্প বিস্তর
সুনসান নিরবতা যেন বুকে বেঁধা তীর!
কোনো পাখির ডাক নেই, গাড়ির ছুটে চলা নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন