
এম মনজুরুল ইসলাম
আমি বেগম মুজিবের কথা বলছি, ঘরের মেঝেতে
পড়ে থাকা পবিত্র কুরআন শরিফের ওপর
তাজা রক্তের দাগ লেগে থাকার
কথা বলছি, বত্রিশ নম্বর
সড়কের একটি
অপরাজেয় ঐকপদিক দলিলের
সর্বজন স্বীকৃতির
কথা বলছি.....
তখনো তাঁর পায়ে ছিল একটি বাথরুম স্লিপার,
রঙের ব্লাউজ গায়ে! ওরা
তাঁর মুখ ও বুকে
গুলি করে
একটি
নবজন্ম বাংলাদেশ গ্রন্থের রঙিন প্রচ্ছদ
ছিঁড়ে ফেলার সূচনায়
নেমেছিল.....
তিনি বঙ্গবন্ধুর মতোই সংকটাপন্ন একটি জাতিসত্তাকে
স্বতন্ত্র মর্যাদা দেওয়ার কথা ভাবতেন,
রক্তে ভেজা বাংলাদেশকে
দেখাতে চাইতেন
সংস্কারের একটি উজ্জ্বল সেলুলয়েড। অবসরে দেশদ্রোহীদের
বিরুদ্ধে
একটি সংগ্রামের
জন্য শেষতম বক্তৃতায় সান্ত্বনার
বাণী শুনাতেন.....
একটি নৃশংসতম হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে আমি
তৎকালীন বিকৃত সামরিক অভ্যুত্থানের
কথা ভাবছি......
বঙ্গবন্ধু,
ধাপ ওপরে আপনাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায়
পড়ে থাকতে দেখে আমরা একাত্তরের
রণভূমির কথা ভুলে গিয়েছিলাম,
পাইপটা পড়ে থাকতে
দেখেছিলাম প্রথম
তলার সিঁড়ি
সংলগ্ন প্লাস্টার খসা
পাটাতনে......
আপনার তলপেট ও বুক বুলেটে ঝাঁঝরা করে
দিয়েছিল ওরা, রক্তে ভিজে সাদা
পাঞ্জাবিটার রঙ হয়ে
উঠেছিল গাঢ়
লাল.....
বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে আপনি নতুন করে জন্ম
দিয়েছিলেন! বত্রিশ নম্বরের ঝুল বারান্দায়
দাঁড়িয়ে সানশেডের দিকে তাকিয়ে
আপনি একাত্তর পরবর্তী
ধ্বংসাত্মক বধ্যভূমির
মঙ্গাপীড়িতদের
কথা ভাবতেন, একটি রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে
নিজস্ব স্বরে সাজাতে গিয়ে বারবার
ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি
দাঁড়াতেন....
কিন্তু
তখনকার সাম্রাজ্যবাদীরা পঁচাত্তরের আগস্টে
আপনার মগজ ও হাড়ের গুঁড়ার ওপর বসে
উল্লাসে মেতে উঠেছিল, জানালার
কাচে দুর্ভিক্ষ এঁকেছিল
রক্ত প্রবাহে.......
বঙ্গবন্ধু,
আমি আপনাদের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পড়ে থাকার বৃত্তকথা শুনেছি ইথারে, আগস্ট
মাসের তাপ ও আর্দ্রতায় কিছু লাশ
বিকৃত হওয়ার খবরও পড়েছি
স্টকে থাকা পুরোনো
পত্রিকার কালিচটা
পাতায়......
আপনি ১৯৪৬ সালের দাঙ্গার সময় তৎকালীন
ইসলামিয়া কলেজের অর্থনীতির একজন
মাননীয় হিন্দু অধ্যাপককে মুসলমান
এলাকা পার করে হিন্দু
অধ্যুষিত অঞ্চলের
সীমান্তে নিরাপদে পৌঁছে দিয়ে
আসতেন......
জীবনের বড় সময় জেলখানায় থেকেও দেশের জন্য
অনবরত চিন্তিত হতেন, নিপীড়িত মানুষদের
অধিকারের কথা তুলে ধরতেন
জাতিসংঘের সাধারণ
পরিষদে.....
চিঠি লিখে পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীদের
খোঁজ নিতে আপনি ছিলেন
অকপট ভাস্কর্য.....
আপনার এই মানবিকতার ঐকান্তিকতা
আপনাকে করে তুলেছে আজ
মহামৃত্যুঞ্জয়.....
বাঙালির অধিকার আদায়ের রাজনীতি করতে গিয়ে
আপনি বহুবার কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন,
প্রাদেশিক মন্ত্রিত্ব ছেড়ে পূর্ব বাংলার
মানুষদের জন্য ডাক দিয়েছেন
একটি অপরিশোধ্য
বিপ্লবের.....
আপনার মৃত্যুর পর ওরা আপনাদের বাড়িগুলো
তালাবদ্ধ করে সিলগালা করে দিয়েছিল,
বনানী গোরস্থান এলাকায়
কারফিউ জারি
করেছিল.....
তাতে কী?
বঙ্গবন্ধু,
আমাদের এই দেশ এখন আপনার লাশ ছুঁয়ে
দেখতে চায়, অন্ধকারাচ্ছন্ন একটি
জাতিকে শুনাতে চায়
নিদ্রামগ্ন ভোরের
স্তব্ধ পদধ্বনি.....
দিয়েছিলেন! বত্রিশ নম্বরের ঝুল বারান্দায়
দাঁড়িয়ে সানশেডের দিকে তাকিয়ে
আপনি একাত্তর পরবর্তী
ধ্বংসাত্মক বধ্যভূমির
মঙ্গাপীড়িতদের
কথা ভাবতেন, একটি রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে
নিজস্ব স্বরে সাজাতে গিয়ে বারবার
ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি
দাঁড়াতেন....
কিন্তু
তখনকার সাম্রাজ্যবাদীরা পঁচাত্তরের আগস্টে
আপনার মগজ ও হাড়ের গুঁড়ার ওপর বসে
উল্লাসে মেতে উঠেছিল, জানালার
কাচে দুর্ভিক্ষ এঁকেছিল
রক্ত প্রবাহে.......
বঙ্গবন্ধু,
মাসের তাপ ও আর্দ্রতায় কিছু লাশ
বিকৃত হওয়ার খবরও পড়েছি
স্টকে থাকা পুরোনো
পত্রিকার কালিচটা
পাতায়......
আপনি ১৯৪৬ সালের দাঙ্গার সময় তৎকালীন
ইসলামিয়া কলেজের অর্থনীতির একজন
মাননীয় হিন্দু অধ্যাপককে মুসলমান
এলাকা পার করে হিন্দু
অধ্যুষিত অঞ্চলের
সীমান্তে নিরাপদে পৌঁছে দিয়ে
আসতেন......
জীবনের বড় সময় জেলখানায় থেকেও দেশের জন্য
অনবরত চিন্তিত হতেন, নিপীড়িত মানুষদের
অধিকারের কথা তুলে ধরতেন
জাতিসংঘের সাধারণ
পরিষদে.....
চিঠি লিখে পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীদের
খোঁজ নিতে আপনি ছিলেন
অকপট ভাস্কর্য.....
আপনার এই মানবিকতার ঐকান্তিকতা
আপনাকে করে তুলেছে আজ
মহামৃত্যুঞ্জয়.....
বাঙালির অধিকার আদায়ের রাজনীতি করতে গিয়ে
আপনি বহুবার কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন,
মানুষদের জন্য ডাক দিয়েছেন
একটি অপরিশোধ্য
বিপ্লবের.....
আপনার মৃত্যুর পর ওরা আপনাদের বাড়িগুলো
তালাবদ্ধ করে সিলগালা করে দিয়েছিল,
কারফিউ জারি
করেছিল.....
তাতে কী?
বঙ্গবন্ধু,
দেখতে চায়, অন্ধকারাচ্ছন্ন একটি
জাতিকে শুনাতে চায়
নিদ্রামগ্ন ভোরের
স্তব্ধ পদধ্বনি.....
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন